Extra Virgin Coconut Oil (নারিকেল তেল) এমন একটি তেল যা রান্নার কাজ এবং চুলের পরিচর্যা – উভয় কাজেই ব্যবহৃত হয়। ভার্জিন কোকোনাট অয়েল বলতে মূলত অপরিশোধিত নারিকেল তেলকে বুঝায়। অপরিশোধিত হওয়ায় এই তেলের গুণাগুণ থাকে অটুট।
যেভাবে সংরক্ষণ করবেন:
কিছুদিন পর পর এই তেল রোদে দেওয়া উচিৎ। এতে করে তেলের গুণগত মান ভালো থাকে। তবে দীর্ঘদিন একভাবে রেখে দিলে কালচে প্রলেপ পড়তে দেখা যায়।
যেসব কাজে ব্যবহার করা যায় এই তেল:
নানা ধরনের রসা, ভূনাসহ বিভিন্ন তরকারিতে এই তেল ব্যবহার করা যায়। এছাড়া মিষ্টান্ন, পিঠা ইত্যাদিতেও এর উল্লেখযোগ্য ব্যবহার রয়েছে। রান্নার পাশাপাশি এটি মাথা ঠান্ডা রাখতে এবং চুলের পরিচর্যায়ও বেশ ভালো কাজে দেয়।
নারিকেল তেলের উপকারিতা:
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ:
নারকেল তেলের অন্যতম স্বাস্থ্য সুবিধা হল এটা ‘ব্লাড সুগার’ বা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। বিশেষত যাঁদের ডায়াবেটিস আছে এবং যাঁরা রক্তে শর্করার উচ্চমাত্রা সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছেন—তাঁদের জন্য প্রাত্যহিক খাবারদাবারে পরিমিত মাত্রার নারকেল তেল খুবই উপকারী।
কোলেস্টেরল কম:
অতিরিক্ত কোলেস্টেরল নিয়ে সমস্যায় থাকলে নারকেল তেল খেতে পারেন। নারকেল তেলে ভালো মাত্রায় ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ আছে। লুরিক অ্যাসিড নামের এই ফ্যাট রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রায় ভারসাম্য এনে হূদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই তেল থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক কর্মপ্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
নারকেল তেলের এই পুষ্টিগুণের কথা হয়তো অনেকেই মাথায় রাখেন না। প্রতিদিন অল্পমাত্রায় নারকেল তেল খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে পারে। মৌসুমি ফ্লু থেকে নিস্তার পেতেও কাজে লাগে নারকেল তেলের ওষুধি গুণ। আর ইস্ট, ফাঙ্গাস এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দমনে দারুণ উপকারী নারকেল তেল।
হজমে সহায়ক:
যদি পরিপাকতন্ত্রের গোলযোগে ভুগে থাকেন এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা থাকে তাহলে নিয়মিত রান্নাবান্নায় নারকেল তেল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। পেটের পীড়া এবং পাকস্থলীর গোলযোগ সারাতেও কাজে লাগে এই তেল। নারকেল তেল পরিপাকে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সহায়ক। খাবারে নারকেল তেল ব্যবহার কঠিন কিছু নয়; নিয়মিত রান্নার পাশাপাশি মাখনের বিকল্প হিসেবে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। আর বাজারের ভেজিটেবল অয়েলের বিকল্প হিসেবেও এটা খাওয়া যেতে পারে।
ওজন কমাতে:
ওপরে যেমন বলা হয়েছে যে, থাইরয়েড গ্রন্থির কাজে সহায়তা করে নারকেল তেল আপনার পরিপাক যন্ত্রকে সবল ও আরও ক্রিয়াশীল করে তুলতে পারে। আর এই প্রক্রিয়ায় নারকেল তেল শরীরে অপ্রয়োজনীয় ক্যালরি পোড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খাবারে দুই টেবিল চামচ পরিমাণ নারকেল তেল যুক্ত করে শরীরে জমা হওয়া অতিরিক্ত ‘অ্যাবডোমিনাল ফ্যাট’ কমিয়ে ফেলুন। এতে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
চুল আর ত্বকের যত্নে:
নারকেল তেল ব্যবহার করে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক আর ঝলমলে চুলের অধিকারী হন। ময়েশ্চারাইজার এবং লোশনের মতো করে ত্বকে এই তেল মাখতে পারেন। শুষ্ক খরখরে চুলকে সুন্দর আর সবল করতে নারকেল তেল হালকা আঁচে গরম করে নিন, চুলে মাখুন এবং মিনিট দশেক রেখে দিন। গোসলের সময় শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সপ্তাহে দুই তিন দিন এভাবে নারকেল তেল ব্যবহারে চুল হবে ঝলমলে ও স্বাস্থ্যে উজ্জ্বল।
বয়সের ছাপ কমাতে:
নারকেল তেল বয়সের ছাপ পড়া থেকে বাঁচাতে পারে। এই তেলের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের ত্বকের সুরক্ষায় দারুণ উপকারী। ত্বকে বলিরেখা পড়া, আঁচড় ও বাড়তি দাগ দূর করতেও খুবই উপকারী ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ নারকেল তেল।
নারকেল তেলের অপকারিতা:
১. নারকেল তেল উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধি করে।
২. নারকেল তেল খেলে ওজন বৃদ্ধি হবে।
৩. নারকেল তেল বেশি মাত্রায় ব্যবহার করলে অ্যালার্জি হতে পারে।
৪. অতিরিক্ত নারকেল তেল খেলে ডায়েরিয়া হতে পারে।
৫. যাদের ত্বক শুষ্ক প্রকৃতির তাদের জন্য নারকেল তেল মোটেও ভালো নয়।
৬. যাদের বাদাম খেলে অ্যালার্জি হয় তাদের জন্য কিন্তু নারকেল তেল ভালো নয়।
কোথায় পাবেন অরিজিনাল নারিকেল তেল?
আমাদের কাছে পাবেন এক্সট্রা ভার্জিন পিউর নারিকেল তেল। এই তেল চুলে বা শরীরের যত্নে লাগানোর পাশাপাশি খেতেও পারবেন।
অরিজিনাল এক্সট্রা ভার্জিন নারিকেল তেল এখন আইবণিক শপ থেকে কিনতে পারবেন!
সেরা মানের পিউর নারিকেল তেল পেতে আজই অর্ডার করুন।